পশ্চিমাঞ্চল প্রকৌশলীদের দক্ষতায় অস্থায়ী রেললাইন নির্মিত

স্টাফ রিপোর্টার

স্টাফ রিপোর্টার

২৬ মে, ২০২২, ১ year আগে

পশ্চিমাঞ্চল প্রকৌশলীদের দক্ষতায় অস্থায়ী রেললাইন নির্মিত

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের আওতায় খুলনা -ঈশ্বরদী রেলরুটের যশোর ক্যান্টনমেন্ট সেনানিবাসের মেহেরুল্লানগরে অবস্থিত পাকিস্তানি আমলে নির্মিত রেলব্রিজ নম্বর ৮এর পুঃননির্মান কাজের প্রস্থুতি হিসেবে ১ম টেম্পোরারি রেললাইন তৌরির কাজ নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই সম্পন্ন করা হয়েছে।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে প্রকৌশলীদের দক্ষতায় অস্থায়ী রেললাইন নির্মিত করে ,কোন প্রকার বিলম্ব ছাড়াই যাত্রীবাহী মালবাহী ট্রেন চলাচল অব্যাহত রাখে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে প্রকৌশলী বিভাগ।প্রকৌশল দফতর থেকে অস্থায়ী রেললাইন নির্মিত করার জন্যে বেধে দেয়া নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই বিভাগীয় প্রকৌশলীরা তাদের নিজ দক্ষতায় অস্থায়ী টেম্পোরারি রেললাইন তৌরির কাজ সম্পন্ন করে রেল লাইনটি সচল করে তোলেন।

এবং কোন প্রকার বিলম্ব ছাড়াই যাত্রীবাহী ট্রেন ও মালবাহী ট্রেন চলাচল অব্যাহত রাখেন ।১৯৪৭ সালে দেশ ভাগ হওয়ার ২ বছর পরে পাকিস্তানী আমলের প্রায় ৭১ বছর আগে নির্মিত ৫ ফুট লম্বা ব্রিজটির পুঃননির্মাণ কাজের প্রথম ধাপের কাজ শুরু হলো আজ থেকে।

পাকশী বিভাগের আওতায় আন্তদেশীয় ট্রেন ৬ জোড়া আন্তনগর, ৩ জোড়া মেইল-লোকাল ট্রেনসহ মালবাহী ট্রেন চলাচল করে থাকে এই এই রেলরুট থেকে । সারাদিনে গুরুত্বপূর্ণ রেলরুটটি দিয়ে ঢাকাসহ উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে যাত্রীবাহী আন্তঃনগরট্রেন সহ মালবাহী ট্রেনের চলাচল থাকে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের যশোহর সেকশনের পাকিস্তানী আমলের পুরোনো ৮ নম্বর ব্রিজটির পুঃননির্মানের লক্ষে পুরোনো ঝুঁকিপূর্ণ, ফাটলধরা আরসিসি স্লাব সরিয়ে লোহার জয়েস্ট গার্ডার দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই রেলরুটিকে সচল করে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করে যাত্রীবাহী ট্রেনসহ মালবাহী ট্রেন পার করা হচ্ছে বলে জানান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) যশোর, মাহাবুব হাসান।

এছাড়াও পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পশ্চিম রাজশাহী (সেতু) লিয়াকত শরীফ খানসহ, বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় রেলওয়ে প্রকোশলী-১ (পাকশী)বীরবল মণ্ডল, সেতু প্রকৌশলী( পাকশী) নাজিব কায়সার।

সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী যশোর, কাজী ওয়ালীউল হক, ঊর্ধ্বতন উপ সহকারী প্রকৌশলী (কার্য) চাঁদ আহমেদ, ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সেতু) হাসান আলী, সরেজমিনে উপস্থিত থেকে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই টেম্পোরারি এ্যারেজমেন্টের কাজ সম্পন্ন করান। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্মকর্তারা বলেন,বর্তমানের এই অস্থায়ী ব্যবস্থাপনার রেললাইন দিয়ে ঢাকাসহ উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের সকল ট্রেন নির্বিঘ্নে চলাচল করবে বলে আশা করছি । তবে আমাদের

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে রাজশাহী প্রধান প্রকৌশলী দফতর থেকে অস্থায়ী লাইনটি তৈরি করতে কাজের নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল মাত্র ২ ঘণ্টা। আমরা নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই কাজটি সম্পন্ন করতে সক্ষম হই।তারা আরও বলেন, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী রকেট মেইল ট্রেনটি বিলম্ব থাকার কারণে ১১টা ৩০মিনিটে আমাদের ব্লকের কাজ শুরু হয়।

পরে রেল-শ্রমিকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটের মধ্যেই আমরা কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম হই।পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী বীরবল মণ্ডল বলেন, দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ার কারণে ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। অদূরে এসে যাত্রীবাহী ট্রেনগুলো ব্রিজটিতে থেমে যেতো।তাই আমাদের রেলওয়ে প্রকৌশলী দফতর থেকে এর পুঃননির্মানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।

এছাড়াও পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী লিয়াকত শরীফ খান বলেন, পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের আওতায় পুরোনো, ঝুঁকিপূর্ণ রেলের ব্রিজগুলো আমরা পর্যায়ক্রমে পরিদর্শন করেছি। এবং সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ যে ব্রিজগুলো সেগুলোর পুঃনর্নির্মাণ সংস্কারের কাজের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

আমাদের কাজ চলমান রয়েছে। পর্যায়ক্রমে ব্রিজগুলো সংস্কার করা হবে।তিনি আরও বলেন, সেই পাকিস্তানি আমলে দেশ ভাগের আগে দর্শনা-খুলনা রেলরুটে ট্রেন চালুর পরে ১৯৪৯ সালের দিকে ব্রিজটি নির্মিত করে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার।

স্বাধীনতার ৫০ বছর পর রেলওয়েতে দৃশ্যমান উন্নয়নের যাত্রা শুরু করেছে বর্তমান সরকার। পর্যায়ক্রমে সব ঝুঁকিপূর্ণ পুরোনো রেলওয়ে ব্রিজগুলো সংস্কার করছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগ। এছাড়াও বর্তমানের প্রকল্পটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৫০ দিন মেয়াদে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও গুরুত্বপূর্ণ রেলরুট হওয়ার কারণে আষাঢ় -শ্রাবন মাসের পূর্বেই কাজটি শেষ করার আশ্বাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান অনিক এন্টারপ্রাইজ।

পত্রিকা একাত্তর /নাজমুল তালুকদার

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news