মরুভূমির সুস্বাধু সাম্মাম ফল এখন পাথরঘাটায়। শুনতে কেমন লাগছে; হ্যা, এটাই বাস্তবে উপকূলীয় উপজেলা পাথরাটায় মাটিতে সাম্মাম চাষে সাফল্যতা দেখিয়েছেন একজন শিক্ষক । যার নাম তরিকুল ইসলাম। তিনি পাথরঘাটার প্রাণকেন্দ্র তাসলিমা মেমোরিয়াল একাডেমীর ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষক।
পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের ছোট টেংরা গ্রাম। যে গ্রাম থেকে এখনও শহরে আসতে যাতায়াতের ব্যবস্থা খুবই নগন্য। যে এলাকায় একটা সময় ছিল শিার তেমন আচর ছিল না। সেই গ্রামেই স্নাতক পাশ করে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক হয়েও কৃষি কাজ করছেন।
তরিকুল ইসলাম বলেন, আমার বাবা একজন কৃষক। ছোট বেলা থেকেই বাবাকে দেখেছি কৃষি কাজ করছেন। এই কাজ করেই আমাদের লেখাপড়া করিয়েছেন। আমি তার দেখাদেখিই এই কৃষি কাজে ঝূকেছি।
তিনি আরও বলেন, ৩৫০শ বিঘা জমিতে সাম্মাম ও তরমুজ চাষ করছি। বর্তমানে সাম্মাম বা তরমুজের মৌসুম না, তারপরেও আমি চাষ করে সাফল্য অর্জন করেছি। এ বছর শুধু সাম্মাম ও তরমুজ থেকেই বছরে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা আয় হয়। আমার চাষ দেখে অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এ ফল খুবই সুস্বাধু।
তিনি বলেন, প্রথমে আমি ইউটিউব দেখে রংপুর থেকে সাম্মামের বীজ সংগ্রহ করেছি। প্রথমে আমার এলাকার মানুষ বলেছেন, পাথরঘাটার মাটিতে সাম্মাম ফল হবে না। কিন্তু আমি সাহস করে চাষ করেছি।
তরিকুল ইসলাম আরও বলেন, আমার সাম্মাম প্রতি কেজি বিক্রি ১০০ থেকে ১৩০ টাকা। এক একটি ওজন আধা কেজি থেকে ২ কেজি পর্যন্ত। তরমুজ কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, একেকটির ওজন আধা কেজি থেকে ৩ কেজি পর্যন্ত। এ ফল খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করছি।
পাথরঘাটা উপজেলা উপসহকারী কৃষি অফিসার শ্যামল হাওলাদার বলেন, মরুভূমির ফল সম্মাম উপকূলীয় অঞ্চলে হওয়ার কারণ এই অঞ্চলে মাটি ও বালু থাকার কারণে এবং ভালো পরিচর্যা করার কারণে সম্মামের বিচ ফুটিয়েছে এখন বর্তমানে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ফল বাংলাদেশেও হচ্ছে এবং বেশ লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।
পত্রিকা একাত্তর /তাওহিদুল ইসলাম