আবহাওয়া অধিদপ্তরের আগাম সর্তক বার্তার কারণে ঘুণিঝড় আঘাত হানার আগেই গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় চলতি বোর মৌসুমের ফসলের মাঠ ফাঁকা হয়ে গেছে।
ঘুর্ণিঝড় আসার ১০দিন আগে থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে সাধারণ মানুষ বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেয়ে ফসল কেটে ঘরে তুলেছে। কৃষকরা স্বস্তিতে ফসল ঘরে তুলতে পেয়ে মহাখুশি। এতে করে ফসলের ক্ষতি একবারেই নেই বলরে চলে। পাশাপাশি প্রশংসায় ভাসছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আরও সঠিক তথ্য প্রদানে আবহাওয়া অধিদপ্তরকে আন্তরিকতার সহিত দায়িত্ব পালনে আহবান জানিয়েছেন অভিজ্ঞমহল।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২৬ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে বোর চাষাবাদ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় ফলনও ভাল হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় শতভাগ জমির ধান কাটামাড়াই সম্পন্ন হয়েছে।
উপজেলার ধুমাইটারী গ্রামের বাবু মিয়া জানান, আরও ৫দিন পরে ধান কাটা যেত। কিন্তু মোবাইলের ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারি বড় ঘুর্ণিঝড় হবে। সে কারণে আগে ধান কেটে ঘরে তুলি। গত বছরের ১০ বছরের তুলনায় এবার ভাল ভাবে ধান ও খড় শুকাতে পেয়ে খুশি কৃষকরা। তিনি জানান, এভাবে আবহাওয়ার খবর আগে জানা গেলে কৃষকদের অনেক উপকার হবে।
দহবন্দ ইউনিয়নের ছাত্রলীগ নেতা ও কৃষক আনোয়ার হোসেন জানান, বিজ্ঞানের অবদানের কারণে আজ আবহাওয়ার খবর আগাম জানতে পেয়ে ফসল ঘরে তুলতে পেয়েছি। এটি বর্তমান সরকারের বড় উন্নয়ন। আরও আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে সঠিক খবর সঠিক সময়ে কৃষকদের মাঝে জানাতে পারলে কৃষকরা আরও সমৃদ্ধ হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার রাশিদুল কবির জানান, ঘুর্ণিঝড় মোখার খবর জানার পর উপ-সহকারি কৃষি অফিসারদের মাধ্যমে ব্লকে ব্লকে কৃষকদের পাকা ধান কেটে ঘরে তোলার পরামর্শ প্রদান করা হয়। সে কারণে কৃষকরা ভাল ভাবে ধান কেটে ঘরে তুলেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সঠিক নির্দেশনায় এটি সম্ভম হয়েছে। উপজেলায় প্রায় শতভাগ মাঠের ফসল ঘরে উঠেছে। আগের চেয়ে কৃষকরা এখন অনেকটা সচেতন। সে কারনে প্রাকৃতিক দুর্য়োগ মোকাবেলায় সক্ষম হয়েছে তারা।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম সরকার লেবু জানান, প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশের কারণে আজ কৃষকরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ঘুর্ণিঝড়ের খবর পেয়ে পাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে পেয়ে অনেকটা খুশি। সে কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং কৃষি অধিদপ্তরকে ধন্যবাদ। তিনি আরও বলেন ঘুণিঝড়র এবং দিনমজুর সংকটে অনেক কৃষকের ধান কেটে দিয়ে ছাত্রলীগসহ অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
পত্রিকা একাত্তর/ হযরত বেল্লাল
আপনার মতামত লিখুন :