বিরামপুর উপজেলায় পুরোদমে বোরো ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ চলছে। ঘুর্ণিঝড় “মোচা” আসার আগেই মাঠের ধান ঘরে তুলতে কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। উপজেলা কৃষি বিভাগ দ্রæত বোরো ধান কাটতে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। ফলনও হচ্ছে আশাতীত।
শিমূলতলী গ্রামের কৃষক আসমান আলী জানান, তিনি এবার জিরাশাইল জাতের ধান চাষ করেছেন। অন্যান্য বছর ফলন কম হলেও এবার প্রতি বিঘা (.৩৩ শতক) জমিতে ২৫/২৬ মন হারে ফলন হচ্ছে।
বিরামপুর বণিক সমিতির সভাপতি ও ধান আড়ৎদার আশরাফুল ইসলাম জানান, সদ্য কেটে আনা সরু জাতের জিরাশাইল ধান এক হাজার ৫০০ টাকা থেকে ১১শ’ টাকা মন দরে বেচা-কেনা চলছে।
বিরামপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ জাহিদুল ইসলাম ইলিয়াছ জানান, চলতি মে মাসের ১৩ থেকে ১৬ তারিখের মধ্যে ঘুর্ণিঝড় মোচা আঘাত হানার পূর্বাভাস রয়েছে। ঝড়ের আগে ধান কাটার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এলক্ষ্যে কৃষকদের লিফলেট বিতরণ, অন্যান্য প্রচার মাধ্যম, বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, অনলাইন, অফলাইন, উপজেলা কৃষি বিভাগের সকল কর্মকর্তা ও মাঠ পর্যায়ের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কৃষকদের নিকট বার্তা পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে।
বিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ফিরোজ আহমেদ জানান, উপজেলার পৌর এলাকা ও ৭টি ইউনিয়নে এবার ১৫ হাজার ২১০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও আবাদ হয়েছে ১৫ হাজার ২১৫ হেক্টর জমিতে। কৃষকদের আবাদকৃত ধানের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, জিরাশাইল, ব্রি-২৮,২৯,৫৮,৭৪,৮১,৮৮,৮৯ ও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের হাইব্রিড জাতের ধান। সীমিত জনবল দিয়েই নিরলস ভাবে পৌর এলাকা ও ৭টি ইউনিয়নের কৃষকদের মাঝে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একারণে রোগ বালাইহীন ভাবে উপজেলার প্রতিটি বোরো ক্ষেত পরিপূর্ণ শীষে ভরে উঠেছে। কৃষকরাও ঘরে তুলছেন আশাতীত ফলন।
এদিকে কাল বৈশাখী মোচা আসার আগেই মাঠের বোরো ধান কেটে ঘরে তোলার জন্য কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। অনেক এলাকায় হারভেস্টার মেশিনের মাধ্যমে দ্রæত ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ করা হচ্ছে।
পত্রিকা একাত্তর/ নজরুল ইসলাম
আপনার মতামত লিখুন :