রামপালের পরিবেশ বান্ধব কৃষির সম্ভাবনা শীর্ষক পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত


জেলা প্রতিনিধি, বাগেরহাট প্রকাশের সময় : ১৩/০৪/২০২৩, ৪:২৫ অপরাহ্ণ /
রামপালের পরিবেশ বান্ধব কৃষির সম্ভাবনা শীর্ষক পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

বাগেরহাটের রামপাল এক্টিভিস্তাদের উদ্যোগে অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ ও বাঁধন মানব উন্নয়ন সংস্থা সহযোগিতায়, পরিবেশ বান্ধব কৃষির সম্ভাবনা শীর্ষক পরামর্শ সভার আয়োজন করা হয়। বুধবার(১২) এপ্রিল, সকালে টাই রামপাল উপজেলা কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়।

শুক্লা মণ্ডল সভাপতিত্বে , প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামপাল উপজেলার চেয়ারম্যান শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন। এছাড় ও অথিতী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, মুসাম্মাৎ হোসনেয়ারা (মিলি), উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রামপাল,জনার কৃষ্ণা রাণী মন্ডল, উপজেলা কৃষি ,একশনএইড ডেনমার্কের ডেলিগেট ও একশন এইড বাংলাদেশ পপ্রতিনিধি বৃন্দ ,বাঁধন মানব উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মঞ্জুরুল হাসান মিলন, জনাব মোঃ নাছির উদ্দিন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রামপাল , এশিয়া ফাউন্ডেশন এর প্রকল্প সমন্বয়কারী হাওলাদার সোহাগ, এফোরটি প্রকল্পের সমন্বয়কারী খন্দকার মুশফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকেরা ও এক্টিভিস্তা রামপাল ও বাগেরহাটের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উক্ত অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এক্টিভিস্তা বাগেরহাট সদস্যা , মোঃ আলিমুজ্জামান এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এক্টিভিস্তা রামপালের সদস্যা সোমাইয়া ইসলাম তমা।

এক্টিভিস্তা সাদিকা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, কোথাও যেন এক ইঞ্চি জায়গা পাকা না থাকে, কিন্তু আমরাও চাই গাছপালা লাগাইতে লবন পানিতে আমাদের এখানে কোন গাছপালা হয় না।

মরিয়ম বেগম বলেন , আমাদের কৃষকদের যদি কোন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাদাবী জানাচ্ছি। যাতে করে আরো উন্নত মানের ফসল সৃষ্টি করতে পারি আমরা।

পরামর্শ সভায় কৃষক জনক কৃষক মান্নান বলেন, মাঠে যে ধান হয়েছিল আমাদের পরান জুড়ে যায়, কিন্তু লবণ পানিতে সব শেষ হয়ে গেছে।

উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ হোসেনের( মিলি)বলেন, বাঁধন মানব উন্নয়ন সংস্থা কে অনেক অনেক ধন্যবাদ, যে তারা একটা ফর্ম এর ভিতর বিদেশি নাগরিক, একশনএইড প্রতিনিধি কৃষি কর্মকর্তা, উপজেলা, চেয়ারম্যান একঝাক তরুণদের নিয়ে এত সুন্দর একটা কৃষি বিষয়ক পরামর্শ সবাই আয়োজন করেছে, কৃষির কোন বিকল্প নেই আমাদের। রামপালের লবণ পানিকে সৃষ্টি করেনি এমনিতেই হয়েছে। আমার জন্মভূমি এখানে এখানে আমার বেঁচে থাকতে হবে কি করে বাঁচতে হবে এই পদক্ষেপ আমাদের নিতে হবে।

উপজেলা চেয়ারম্যান, শেখ মহাজ্জল হোসেন বলেন,এখানে আমাদের যুদ্ধ করে বাঁচতে হবে, আমাদের জায়গা থেকে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি, কিভাবে আরো বেশি লবণ সহিষ্ণু ফসল করা যায়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন,রামপালের লবণতা দিন দিন বেড়ে চলছে এখানে কাজ কর আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ, তারপরেও আমরা থেমে নেই। বাগেরহাট এই প্রথম ধান গবেষণা কেন্দ্র থেকে লবণতা সহিষ্ণু ধানের ২২ শতক কেজি বিচ দিয়েছে এবং তা আমরা বিভিন্ন কৃষকের দের দেওয়া হয়েছে। ৩০০ জন কৃষকের সরিশারবিচ দেয়া হয়েছে, সরকারি প্রণোদনা ২৯০০ জন কৃষককে বিনামূল্যে বিচ এবং সার দিয়ে দিয়েছি। উপজেলা পরিষদের সহায়তায় লবণ আর সহিষ্ণুসবজি দিয়েছি ৫৫৬ জন কৃষকে, ৫০০ জন কৃষককে হাইব্রিড হিরা ধানের বিষ দিয়েছি। প্রতিটি পরিবার যেন এক বছরের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে পারে এমন পদক্ষেপ আমরা ইতিমধ্যে নিয়ে নিয়েছি এবং প্রতিটি ইউনিয়নে ১০০ টি করে পরিবারকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে এবং উপজেলা কৃষি অফিস থেকে যখন যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা আসবে এখানে যারা উপস্থিত আছে সবার আগে আপনারাই পাবেন। (ব্যানারে ১১ তারিখ থাকলেও করেছেন ১৩ তারিখ)

পত্রিকা একাত্তর/ আবু তালেব