মাছ বাজারে প্রকাশ্যে চলছে চাঁদাবাজী

উপজেলা প্রতিনিধি, পটুয়াখালী সদর

২ মার্চ, ২০২২, ২ years আগে

মাছ বাজারে প্রকাশ্যে চলছে চাঁদাবাজী

পটুয়াখালীর কলাপাড়া বাস ষ্ট্যান্ড সংলগ্ন চৌরাস্তা মাছ বাজারে ভিটি ভাড়া আদায়ের নামে প্রকাশ্যে চলছে চাঁদাবাজী। একটি প্রভাবশালী মহল মাছ বিক্রেতাদের কাছ থেকে প্রতি মাসে অন্তত: ৫ লক্ষ টাকা আদায় করে নিলেও ভয়ে মুখ খুলছেনা ভুক্তভোগী মাছ বিক্রেতারা।

দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে এমন চাঁদাবাজী চললেও অজ্ঞাত কারনে অদ্যবধি এ চাঁদাবাজী বন্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন উদ্দোগ নেয়া হয়নি, বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

সূত্র জানায়, কলাপাড়া বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন মাহাসড়কের আড়পাঙ্গাসিয়া নদী পাড়ে পাউবো’র বিএস ৭ নম্বর খতিয়ান, ১৫১৮ দাগ এর জমিতে একটি প্রভাবশালী মহল দীর্ঘদিন ধরে মাছ বাজারের বিক্রেতাদের কাছ থেকে চৌকি প্রতি রোজ ৪০০ টাকা হারে আদায় করছেন।

বাজারে অবস্থিত ৪০ টি চৌকি থেকে প্রতিদিন ১৬,০০০ হাজার টাকা আদায় করছে প্রভাবশালী ওই মহল। এভাবে মাছ বিক্রেতাদের কাছ থেকে মাসে আদায় করে নেয়া হচ্ছে ৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা।

’কাউটা নাসির’ নামের এক যুবক এ টাকা আদায় করছে বলে জানায় সূত্রটি। যার সিংহভাগ যাচ্ছে এক প্রভাবশালীর পকেটে, আর কিছু ছিটেফোঁটা পাচ্ছে স্থানীয় নাচনাপাড়া চৌরাস্তা জামে মসজিদ। সূত্রটি আরও জানায়, চৌরাস্তা মাছ বাজারের প্রতিটি চৌকি থেকে ৪০-৫০ হাজার টাকা করে প্রভাবশালী ওই মহলটি অগ্রিম টাকা নিলেও চৌকি, টিনের চালা তৈরী করে নিতে হয়েছে মাছ বিক্রেতাদের।

এ বিষয়ে টাকা আদায়কারী ’কাউটা নাসির’ বলেন, ’চৌরাস্তা মাছ বাজারের ওই জায়গা কিছু রেকর্ডীয় এবং কিছু সরকারী খাস বন্দোবস্ত কার্ড ক্রয়কৃত ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা। এছাড়া মাছ বিক্রেতাদের কাছ থেকে চাঁদা ওঠানোর অভিযোগ অসত্য, ব্যবসায়ীরা স্বেচ্ছায় সমিতিতে কিছু টাকা জমা করছে। যা প্রতিবছর ঈদের পূর্বে তারা আবার নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়।

টিয়াখালী ইউনিয়ন তহশিলদার আবদুল কাইয়ুম জানান, মাছ বাজারের ওই জায়গা সর্বশেষ বিএস জরিপে কোন ব্যক্তি কিংবা সরকারের নামে রেকর্ড হয়নি। রজপাড়া থেকে চৌরাস্তা পর্যন্ত ওয়াপদা সড়কের রিভার সাইড পানি উন্নয়ন বোর্ড’র নামে ৭ নম্বর খতিয়ান ভুক্ত হয়ে রেকর্ড হয়েছে, যার দাগ নম্বর ১৫১৮।

আদালত থেকে বিএস রেকর্ড না ভেঙ্গে কারও এখন আর দাবী করার সুযোগ নাই। পাউবো কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে। এছাড়া চৌরাস্তা মাছ বাজার ইজারাভুক্ত কোন বাজার নয়। তাই বাজার থেকে কোন ধরনের খাজনা আদায়ের নামে টাকা উত্তোলন করা বৈধ নয়।

টিয়াখালী ইউনিয়নের সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান সুজন মোল্লা বলেন, ’চৌরাস্তা মাছ বাজারে ইউনিয়ন পরিষদের নামে সাবেক চেয়ারম্যান মাছ বিক্রেতাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করেছে। আমি শপথ নেয়ার পর জনস্বার্থে এটি উম্মুক্ত করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, কলাপাড়া অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আরিফ হোসেন বলেন, ’আমরা সার্ভেয়ার নিযুক্ত করে শীঘ্রই অবৈধ স্থাপনার তালিকা তৈরী করে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করবো।

পত্রিকা একাত্তর /মিজানুর রহমান অপু​​​​

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news